হার্ট(Heart) আমাদের শরীরের একটা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সারা বিশ্বের কম বেশি বহু মানুষই এই হার্ট এর সমস্যায় জর্জরিত। হার্ট এর গতিবিধি এবং সচল থাকার উপর আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা অনেকাংশই নির্ভর করে থাকে।
জীবন যাত্রার ধরণ, অত্যধিক কাজের চাপ, মানসিক যন্ত্রনা ইত্যাদি অনেক কারণে আমাদের হার্ট এ সমস্যা সৃস্টি হয়। তাই হার্টকে রক্ষা করা বা হার্ট অ্যাটাক এড়ানোর জন্য ১০টি সহজ উপায় রইল।
Table of Contents
হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) কেন হয়
হার্ট অ্যাটাক হয় যখন হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ অবরুদ্ধ হয় বা বাধা পায়। বাধাটি প্রায়শই চর্বি, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য পদার্থের একটি গঠন, যা হৃৎপিণ্ডের আর্টারি মধ্যে জমে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃস্টি করে।
আমদের হার্ট এর মধ্যে সবসময় রক্ত চলাচল করে। যখন হার্ট এর মধ্যে রক্ত চলাচলে বাঁধা উৎপন্ন হয় তখন রক্ত জমাট বেঁধে যায়, সেই বাঁধা প্রাপ্ত রক্ত হার্ট এর পেশির মধ্যে চাপের সৃষ্টি করে।
হার্ট অ্যাটাক, যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়, এটি মারাত্মক হতে পারে। তবে কয়েক বছর ধরে এই চিকিৎসা অনেক উন্নত হয়েছে। আপনার যদি মনে হয় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে তবে 911 বা জরুরী চিকিৎসা সহায়তা কল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ (Symptoms)
১. মাঝে মাঝে বা দিকের বুকে ব্যথা অনুভব হবে।
হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকের বাঁ দিকে ব্যথা হয় আবার কখনও কখনও বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে ব্যথা হবে এরকম কিন্তু নয়, অনেক গবেষণাও থেকে জানতে পারা গেছে বেশিরভাগ মানুষের বুকের ব্যথা হয়না।
২. বমি বমি ভাব, বদহজম, আম্মল, পেটে ব্যাথা।
৩. নিশ্বাসের দূর্বলতা।
৪. একটুতেই শরীরে ক্লান্তি চলে আসা।
৫. হালকা মাথা ঘোরা, হটাৎ করে মাথা ঘোরা।
হার্ট অ্যাটাকে সবার লক্ষণ সমান হয় না। মানুষের শরীর এর উপরে লক্ষণের প্রবণতার প্রভাব দেখা যায়। অনেকের লক্ষণ গুলি আনেক দিন স্থায়ী হতে পারে, আবার অনেকের স্থায়ী না হয়ে কিছুদিন পরপর হঠাৎ হঠাৎ করে লক্ষণ দেখা যায়।
আরও পড়ুন: Meditation এর উপকারিতা, কৌশল, সময়
মানুষের শরীরে Heart Rate কত থাকে
রক্ত যখন ধমনীর মধ্যে প্রবাহিত হয় তখন ধমনীর প্রাচীরে যে কম্পন সৃষ্টি করে তাকে রক্ত চাপ (blood pressure) বলা হয়। রক্তের কম্পন দুই ধরনের হয়-
1. Systolic
2. Diastolic
Blood Pressure Rate:
শাকসবজি ফলমূল বাদাম উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, অল্প পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন খান। এই সমস্ত খাবারকে আপনার খাদ্যের মূল কেদ্র বানান। যতটা সম্ভব কার্বোহাইড্রেট সম্পূর্ণ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং অত্যাধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবার তালিকায় নিয়মিত কিছু সুপার ফুডস রাখতে পারেন যা আপনার হার্টকে অনেকটা ভালো রাখবে।
প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একশ পঞ্চাশ মিনিট মাঝারি-তীব্রতা কার্ডিও অনুশীলন বা পঁচাত্তর মিনিট অনুশীলন করা উচিত। একভাবে বসে না থেকে আপনি যদি শরীরকে ক্রমাগত সঞ্চারণ করেন তাহলে আপনি সুস্থ ভাবে বাঁচাতে পারেন। যতটা সম্ভব শরীরকে সঞ্চরণশীল বানাতে থাকুন।
নির্দিষ্ট বয়স অনুপাতে নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখার চেষ্টা করুন আপনি যদি অতিরিক্ত স্থুলতা হন তাহলে নিজের ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। নিজের ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিচর্চা করতে থাকুন।
আপনি যদি কোনো রকমের নেশা সাথে জড়িয়ে থাকেন তাহলে আপনি সেই নেশা থেকে মুক্ত হবার চেষ্টা করুন। বিড়ি, সিগারেট খাবার ফলে আমদের ফুসফুসে উপরে অনেক চাপ পড়ে, অনেক দুষিত পদার্থ আমদের ফুসফুসের মধ্যে জমা হয়। হৃদরোগ এর প্রধান কারণ গুলির মধে অন্যতম হচ্ছে এই কারণটি।
শরীরের কোনো অসুবিধেকে over look করে জাবেন না। শরীরে একটু অসুবিধা হলেই ডক্টর এর পরামর্শ নেবেন। আপনার over look এর কারণে আপনি নিজেই বড় সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই শারীরিক কোনো অসুবিধা হলেই doctor এর পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।
নিয়মিত ভাবে YOGA অভ্যাস করলে আপনি অনেক রকমের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন YOGA অভ্যাসের ফলে আপনার শরীরের মধে জমে থাকা কোলেস্ট্ররাল গলে যায় নিশ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর হয় ফুসফুসের সমস্যা দূর হয়। নিয়মিত YOGA অভ্যাসের ফলে আপনার হৃদপিন্ড কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাই।
বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল পান করার ফলে আপনার রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। অ্যালকোহল পান করার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালোরি সরবরাহ হয় যা ওজন বাড়ানোর সাহায্য করে। এগুলি আপনার করোনারি হার্ট disease এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
স্ট্রেস(Stress) বহুভাবে করোনারি হার্টের অসুস্থতার সাথে যুক্ত। এটি আপনার রক্তচাপের পরিমান বাড়িয়ে তোলে। তাই জীবনে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপ করোনারি হার্ট অ্যাটাকের জন্য মূল কারন হতে পারে। আপনার স্ট্রেসকে অনুশীলন করে তাকে কমানোর চেষ্টা করুন করুন এবং আপনাকে শান্ত বা শান্তিপূর্ণ কিছু বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে।
১০. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ রক্তচাপ করোনারি হৃদরোগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপদজনক বিষয়। আপনার রক্তের চাপ প্রায়শই বার বার পরীক্ষা করা জরুরী – বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের যদি উচ্চরক্ত চাপ থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরীক্ষা করা উচিত এবং অতিরিক্ত রক্তচাপের পরিমান নিয়ন্ত্রণ করতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন প্রয়োজন।
হার্ট অ্যাটাক হলে কি করা উচিৎ
২. যদি নাইট্রোগ্লিসারিন থাকে, তবে জরুরি ক্লিনিকাল সহায়তার জন্য আপনি এটি গ্রহণ করতে পারেন।
হার্ট অ্যাটাক আটকানোর প্রধান খাদ্য তালিকা
সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন K এবং নাইট্রেট এর পরিমাণ বেশি থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং ধমনীর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।