Meditation বা ধ্যান কথার অর্থ সাধনা। Meditation এককথায় শারিরিক ও মানসিক প্রশান্তি নিয়ে আসে। মনকে শান্ত, চিন্তা মুক্ত ধীর স্থির করে।Meditation এ বলা হয় It is mind-fullness, low stress and more happiness. আর mind-fullness হল দেহের এমন একটি পর্যায় যেখানে আমাদের দেহ মস্তিষ্কের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে দেহকে একটা সুস্থির অনুভব প্রদান করে।
প্রচণ্ড গরমে শীতল বাতাস যেমন স্নিগ্ধতা বয়ে আনে,মন হয় তেমনই স্নিগ্ধ ও শান্ত এই Meditation। যার ফলে সহজেই নির্দিষ্ট কিছুর প্রতি আত্মনিমগ্ন হওয়া যায়। মানব দেহের মন ও মস্তিষ্ক শিথিল করার চর্চা হল ধ্যান বা Meditation.
Table of Contents
- 1 Meditation কি?
- 2 Meditation করার সঠিক নিয়ম
- 3 CONCENTRATION MEDITATION
- 4 MINDFULNESS MEDITATION
- 5 Concentration Meditation
- 6 Mindfulness Meditation
- 7 Meditation কৌশল
- 8 পদ্মাসন:
- 9 বজ্রাসন:
- 10 Meditation এর উপকারিতা
- 11 Meditation এর ক্ষতিকর দিক
- 12 Meditation করার সঠিক সময়
- 13 কত সময় ধরে মেডিটেশন করা উচিত
- 14 Related Post
Meditation কি?
Definition of meditation: Meditation মনকে শান্ত করে নিদিষ্ট কিছুতে নিমগ্ন হতে সাহায্য করে। আর সচেতন ভাবে দেহ ও স্নায়ুর শিথিলায়ন করে এবং মনকে বর্তমানে অর্থাৎ বাস্তবে নিয়ে আসে। এটি একটি শারীরিক অমান্সিক ব্যায়ম যার মাধ্যমে শরীর মন ভালো থাকে। আর আমাদের জীবন চিন্তামুক্ত, টেনশন মুক্ত সুখী জীবনে প্রবশে সাহায্য করে।
Meditation করার সঠিক নিয়ম
-
CONCENTRATION MEDITATION
-
MINDFULNESS MEDITATION
Concentration Meditation
Concentration meditation কি কি ভাবে করে থাকি।
১. শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে। প্রথমে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়া এই গতিবিধির উপর মনোযোগ দিতে হয়। এভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে মনকে স্থির করে meditation করি।
২. কোন নিদিষ্ট শব্দ বা phase উচ্চারণের দ্বারা। এই প্রক্রিয়ায় কোন নিদিষ্ট শব্দ বা phase বার বার উচ্চারণের ফলে যে শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। মনের মধ্যে আত্মনিমগ্ন হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ওম,ঔং ইত্যাদি মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে। প্রাচীনকালে মুনি ঋষিরা এভাবে ধ্যান করতেন।
৩. লক্ষ স্থির করা। এই পদ্ধতিতে কোন নিদিষ্ট বস্তুর প্রতি লক্ষ স্থির রেখে গতিপ্রকৃতি বোঝা ও সেই লক্ষে নিজেকে নিমগ্ন করা। ধরা যাক,মোমবাতি জ্বালিয়ে সেই অগ্নিশিখার দিকে তাকিয়ে, ফুল বা ফলের গতিবিধির উপর নজর বা মনোযোগ দেওয়া।
আরও পড়ুন: চক্র মেডিটেশন করার ৭ সুবিধা।
Mindfulness Meditation
Mindfulness Meditation হল ভীষণ গভির। মনের গভিরে প্রবেশ করে মনকে শক্তিশালী করে তোলে। স্থির লক্ষ নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। উদ্দেশ্য,চিন্তা-ভাবনা বিচার করে দেহের প্রতিক্রিয়াকে উন্নত করা। কোন সমস্যা হলে সেই সমস্যা থেকে উত্তরনের পথ বলে দেয় না, বরং পরিস্থিতি কিভাবে মানিয়ে নেবে ও পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করা যায় তা শেখায়।
Meditation কৌশল
Meditation নিদিষ্টআসনে বসে মেরুদণ্ড সোজা রেখে অভ্যাস করতে বলা হয়। ধীরে ধীরে মন শান্ত,ধীর স্থির হয়। চোখ বন্ধ করে ধ্যানে নিমগ্ন হওয়া। ভিন্ন ভিন্ন যোগাসনের মাধ্যমে ধ্যান করা হয়।
উদাহরণ:
পদ্মাসন:
এই আসনে মেঝেতে পা দুটি ক্রস করে মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে হয়। আর হস্তমুদ্রা সমান গুরুত্বপূর্ণ,হাত দুটি হাঁটুর উপর,আর হাতের তালু উপরের দিকে রেখে বৃদ্ধাঙ্গুল কনিষ্ঠা আঙ্গুলকে স্পর্শ করে।
বজ্রাসন:
এই আসনে হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের উপর মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে হয়। আর শরীরের সমস্ত ভার পায়ের গোড়ালির ওপর থাকে। হাত দুটি থাকে টান টান হাঁটুর সঙ্গে লেগে থাকে।এ ছাড়া পা দুটি ভাঁজ করে মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাতকে হাঁটুর ওপর রেখে খুব সহজে পদ্ধতিতে ধ্যান করা জায়।
এছাড়া নিদিষ্ট নির্জন স্থানে হাঁটতে হাঁটতে meditation করা সম্ভব। শিশুদের খেলাচ্ছলে বসে দাঁড়িয়ে আবার উপুর হয়ে শুইয়ে meditation শেখানোর চেষ্টা করা হয়।
Meditation এর উপকারিতা
১. Meditation এর শারিরিক ও মানসিক উপকারিতা বহুবিধ। নিয়মিত ধ্যান করার অভ্যাস করলে তা ফলপ্রসূ হয়। অনিয়মিত ও স্বল্প দিনে এর ফল পাওয়া যায় না। সকলের জন্য ইহা প্রায় সমান উপযোগী ও ফলপ্রসূ। বতর্মান সময় ও পরিস্থিতির প্রাধ্যান্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২. কোন কিছুর প্রতি মনোযোগ দেওয়া। মন কে স্থির করে নিদিষ্ট কিছুর প্রতি ফোকাস করা,লক্ষ স্থির ও মনোযোগ নিয়ে কোন কিছুতে নিমগ্ন করতে পারলে সাফল্য আসে। ছাত্র –ছাত্রীরা ধ্যানের সাথে লেখাপড়া মনোযোগ দিলে রেজাল্ট ভাল হয়।
আরও পড়ুন: যোগের[YOGA] ২০টি উপকারিতা।
৩. Stress বা,চিন্তা টেনশন আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য হানি ঘটায়। চিন্তা-টেনশন কম থাকলে অনেক শারীরিক অমানসিক রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। আমাদের দেহের ৭০ শতাংশ রোগের কারন টেনশন বা মানসিক চাপ সেটা যদি কোনভাবে কমানো বা control করা হয় তবে, শরীরে রোগ কম হবে আর স্বাস্থ্য উন্নত হবে।
৪. মেধা বৃদ্ধি পায়। ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত মেডিটেশন করলে পড়া মনে থাকবে। কম সময় পড়ে পড়া মুখস্থ করতে পারবে। মেধাবি হিসাবে সকলের নজর কাড়বে। ভবিষৎ উন্নত হবে।
৫. মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে – কিভাবে সমস্যার মধ্যে নিজেকে মানসিক ভাবে সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা যায়। এই প্রবল চাপের মধ্যে নিজের কাজ করে চলা, পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিজের লড়াই করে যাওয়া ও এগিয়ে যাওয়া সামনের দিকে।
৬. Meditation রাগ নিয়ন্ত্রন করে থাকে। প্রচন্ড রাগে আমাদের মস্তিষ্ক ভুলরূপে চালিত হয়। ফলে আমরা ভুল কাজ করি,যার জন্য পরবর্তীতে অনুশোচনা করতে হয়।
৭. অনিদ্রা থেকে মুক্তি পাওয়া,ঘুম হয় না ভালো,ঘুমের ঔষধ নিতে হয় নিয়মিত,দীঘর্দিন অনিদ্রায় ভোগেন – এমন অবস্থায় মেডিটেশন খুব সহায়ক। রিসার্চে দেখা গেছে যে, নিয়মিত মেডিটেশন করার ফলে ঘুম ভালো হচ্ছে। ঘুমের ঔষধ নিতে হয় না। ঘুম ভালো হলে অনেক রোগ বাসা বাধতে পারে না। এছাড়া মন মেজাজ ভালো থাকে, খিটখিটে বিরক্তিভাব উধাও হয়।
৮. নেশা মুক্তিতে সাহায্য করে। অনেক নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়মিত মেডিটেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। আর বহু ক্ষেত্রে তার সুফল পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন: বাঙালি মহিলাদের ওজন কমানোর সেরা ডায়েট চার্ট(Diet chart)
৯. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। মন শান্ত ধীর ভালো থাকলে তার প্রভাব শরীরে পড়ে।
১০. শারীরিক রোগের যন্ত্রণা কম করতে সাহায্য করে। মনকে নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখার ফলে যন্ত্রণা কম মনে হয়।
১১. মানসিক বয়স কম করে। মন থাকে তাজা, শরীর কর্মক্ষম হয়ে ওঠে।
১২. দ্রুত নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী হয়।
Meditation এর ক্ষতিকর দিক
মুদ্রার যেমন দুটি পীঠ ঠিক তেমন মেডিটেশনের বহুবিধ ভালো দিকের সাথে কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। সেগুলি হল
১. মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। অবাস্তব কল্পনার জগতে বিচরণ করে ফলে বাস্তব জীবন কর্মকান্ড সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হবার সম্ভাবনা থাকে।
২. কল্পনার জগত থেকে বাস্তবে বেরিয়ে না আসলে ভুল ধারণা থেকে নেতিবাচক চিন্তার আবির্ভাব হয়।
৩. সংবেদনশীল উপলব্ধির পরিবর্তন হয়।
৪. মেডিটেশন নিয়মিত না করলে ফলপ্রসূ হয় না। হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে মন নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যহানি করে।
৫. হাঁটু বা মেরুদণ্ড ব্যথাজনিত সমস্যায় যারা ভোগেন। তাদের ক্ষেত্রে হাঁটু মুড়ে মেরুদন্ড সোজা করে মেডিটেশন করা স্বাস্থ্যস্মত নয়।
Meditation করার সঠিক সময়
মেডিটেশন করার আদর্শ সময় সূযোদয়ের আগে বলা হয়ে থাকে। ভোর ৪ টে থেকে ৫ টার মধ্যে হলে ভালো হয়। খালি পেটে ধ্যান করতে হয়। সূযাস্তের আগে পড়ন্ত বিকাল মেডিটেশনের জন্য ভালো সময়। এছাড়া অন্য যে কোন সময় যখন মন শান্ত,স্থির ধ্যানের জন্য প্রস্তুত সেই সময়ে মেডিটেশন করা প্রয়োজন। স্থানটি সঠিক হওয়া প্রয়োজন। প্রকৃতির কাছে খোলা হাওয়ায় নির্জন স্থানে ধ্যান বেশী উপযোগী। সেক্ষেত্রে বাড়ির ছাদ বা বাগানে মেডিটেশন করা যায়। ঘরের মধ্যে যেখানে বাতাস চলাচল করে সেখানেও করা যেতে পারে।
কত সময় ধরে মেডিটেশন করা উচিত
প্রথমে দশ মিনিট আস্তে আস্তে এবং পরে সময় বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে, আজকাল মিনিধ্যান বেশী উপযোগী হয়ে উঠছে। অফিসে বা বাড়িতে কাজের ফাঁকে ৫ মিনিট মেডিটেশন করে শরীর ও মনকে relaxকরে নেওয়া বেশ জনপ্রিয়।