সরকার করদাতাদের জন্য আনলো বড় স্বস্তির খবর। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা এখনো রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য এটি এক চমৎকার সুযোগ।
নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, এখন আরও সময় নিয়ে আইটিআর ফাইল করা যাবে। এর ফলে কাজের চাপ কমবে এবং জরিমানা গুনতে হবে না। জেনে নিন এবার ঠিক কবে পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন ফাইল করা যাবে।
আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়ল – জেনে নিন নতুন শেষ তারিখ
করদাতাদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা (Income Tax Return Filing Last Date) বাড়িয়ে দিয়েছে। যাঁরা এখনো রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ।
আর্থিক বছর ২০২৪-২৫-এর জন্য আয়কর রিটার্ন (ITR) জমা দেওয়ার আগের নির্ধারিত শেষ তারিখ ছিল ৩১ জুলাই ২০২৫। তবে সরকার এখন সেই সময়সীমা বাড়িয়ে নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে।
নতুন রিটার্ন জমার তারিখ কী?
২০২৫-২৬ মূল্যায়ন বছরের আয়কর রিটার্ন (আইটি রিটার্ন) জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করল কেন্দ্র। মঙ্গলবারের নতুন বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, চলতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের পরিবর্তে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নথি জমা করতে পারবেন আয়করদাতারা।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এবার রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। এর মানে করদাতারা এক মাস বেশি সময় পাচ্ছেন। যারা কাজের চাপ বা অন্য কারণে নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য এটি বড় সুবিধা।
বিষয় | বিস্তারিত |
---|---|
পুরনো রিটার্ন জমার তারিখ | ৩১ জুলাই ২০২৫ |
নতুন সময়সীমা | ১৫ জানুয়ারি ২০২৬ |
প্রযোজ্য অর্থবছর | আয়কর রিটার্ন ২০২৫-২৬ সালের |
কারা উপকৃত হবেন | সব সাধারণ করদাতা (audit applicable নয়) |
কেন বাড়ানো হলো এই সময়সীমা?
অনেক করদাতা বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন যাতে আইটিআর ফাইল করার সময় একটু বাড়ানো হয়। অনেকেই প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়ছিলেন বা নথিপত্র ঠিকভাবে তৈরি করতে পারছিলেন না।
এসব বিবেচনা করেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই এক মাস অতিরিক্ত সময় পেলে সাধারণ মানুষ আরও সহজে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন এবং জরিমানার ঝুঁকি থেকেও বাঁচবেন।
রিটার্ন দাখিল না করলে কী সমস্যা হতে পারে?
যদি কেউ নির্ধারিত সময়সীমার পরেও রিটার্ন না জমা দেন, তাহলে তাঁকে জরিমানা দিতে হতে পারে। এছাড়া ভবিষ্যতে লোন নেওয়া বা ভিসা আবেদনের সময়ও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
জমা না দিলে সমস্যা | সম্ভাব্য ফলাফল |
---|---|
সময়মতো ফাইল না করলে | ₹৫০০০ পর্যন্ত জরিমানা |
আয়কর রিফান্ড পেতে দেরি | টাকা ফেরতের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা |
নথি না থাকলে লোন বা ভিসা জটিলতা | ব্যাংক বা দূতাবাসে সমস্যা হতে পারে |
রিটার্ন জমা দেওয়ার সহজ উপায়
সরকারের অফিশিয়াল পোর্টাল https://incometax.gov.in থেকে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই ITR ফাইল করতে পারেন। চাইলে আপনি কোনো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা ট্যাক্স কনসালট্যান্টের সাহায্যও নিতে পারেন।
যারা নতুন আয়কর ব্যবস্থায় রয়েছেন, তাদের জন্য ITR-1 ফর্ম প্রযোজ্য। আপনি যেটি ফাইল করবেন, তা নির্ভর করে আপনার আয়ের ধরন এবং পরিমাণের ওপর।
কে কোন ITR ফর্ম ব্যবহার করবেন?
ITR ফর্ম | কাদের জন্য প্রযোজ্য |
---|---|
ITR-1 | বেতনভুক্ত, পেনশনপ্রাপ্ত, স্বল্প সুদের আয় যাঁদের |
ITR-2 | যারা সম্পত্তি বা মূলধনী লাভ থেকে আয় পান |
ITR-3 | ব্যবসায়ী বা পেশাজীবীদের জন্য |
ITR-4 | presumptive taxation scheme যাঁদের জন্য |
এই সময়সীমা কাদের জন্য প্রযোজ্য নয়?
যাঁদের আয় audited হতে হয়, যেমন বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি—তাঁদের জন্য আয়কর জমার আলাদা সময়সীমা নির্ধারিত হয়। উপরের এই নতুন সময়সীমা কেবলমাত্র সাধারণ করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য।
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তে বহু করদাতা উপকৃত হবেন। কাজের চাপ, তথ্য সংগ্রহের সমস্যা বা সময়ের অভাবে যারা আগে রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, এবার তাঁরা নিশ্চিন্তে জমা দিতে পারবেন।
এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন। দেরি না করে সময়মতো আপনার ITR জমা দিন। এতে আপনি যেমন জরিমানা এড়াতে পারবেন, তেমনি ভবিষ্যতের আর্থিক প্রক্রিয়াও হবে আরও সহজ।